close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মুকিব মিয়া: ‘আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ আমার অধিকার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে
ঢাকা: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুকিব মিয়া গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করেছেন। তাঁর দাবি, এটি তাঁর অধিকার এবং তিনি রাজনৈতিক বিরোধীতা ও প্রতিবাদ জানাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি ছাত্র-জনতার অধিকার আদায়ের জন্য একাধিক আন্দোলনে অংশ নেন। তবে, তার এসব কর্মকাণ্ড সরকারি চাকরির বিধি-বিধান লঙ্ঘন কিনা, তা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিফলেট বিতরণের ছবি শেয়ার করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে অন্তত ১৩টি খবর শেয়ার করেন। মুকিব মিয়ার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গেছে যে, তিনি শেখ হাসিনার নীতি ও সমর্থনকারী। তবে, তিনি গত কয়েক মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন এবং তাদেরকে ‘স্বৈরাচারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদিকে, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে পারেন না এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। মুকিব মিয়ার বিরুদ্ধে গত ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভাগীয় মামলা করেছে। তিনি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তিনি লিফলেট বিতরণ করে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি। তার দাবি, এটি ছিল একটি সাংবিধানিক প্রতিবাদ। মুকিব মিয়া এই দাবিও করেন যে, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতার নেতা হিসেবে বাংলাদেশের সশক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে, তাই তাদের লিফলেট বিতরণ করা তার অধিকার। পরে, মুকিব মিয়া পাটগ্রামের জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান জানান, তিনি গত সাড়ে তিন মাসে একবারও কলেজে আসেননি এবং অনলাইনে যোগদানের আবেদন করেছিলেন, যা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে, হার্ডকপি জমা না দেওয়ায় তাঁর যোগদান চূড়ান্ত হয়নি। মুকিব মিয়া লিফলেট বিতরণের প্রসঙ্গে বলেন, তিনি কোনো সরকারি বিধি লঙ্ঘন করেননি এবং আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ তার সাংবিধানিক অধিকার। তার দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এখন দেখার বিষয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, কারণ সরকারি চাকরির আচরণ বিধিমালা কঠোরভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা সমর্থন করতে নিষেধ করে।
Комментариев нет