বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ও দেউলি ইউনিয়নের সংযোগস্থল গাংনগরে বাংলাদেশ বন্ধু ক্লাবের উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ পৃথিবী উপহার দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ ও বনজ গাছ রোপণের মাধ্যমে আয়োজকরা এ বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন—“সবুজে বাঁচুক আগামী।”
যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছ রোপণ করা হয়, সেগুলো হলো: গাংনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গাংনগর এ.এম. বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গাংনগর দাখিল মাদ্রাসা এবং জগন্নাথপুর দাখিল মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণে পুরো কর্মসূচিটি হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন। গাছ লাগানোর সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিল উৎসাহ-উদ্দীপনা, যা পরিবেশ সচেতনতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলোর সন্ধানী সমাজ কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শামীম, বাংলাদেশ বন্ধু ক্লাবের উপদেষ্টা ও ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান মুন, ওয়ার্ড জামায়াতের সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসেন (বালা), বন্ধু ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আরিফুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, এবং ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক সদস্যবৃন্দ—কাউসার, আমির হামজা, আল আমিন, মামুনসহ আরও অনেকে। তাদের উপস্থিতি কর্মসূচিকে উৎসাহব্যঞ্জক করে তোলে।
বাংলাদেশ বন্ধু ক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, "শুধু গাছ লাগালেই হবে না, আমাদের প্রত্যেককে এগিয়ে এসে তা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। এই উদ্যোগ আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে।"
চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শামীম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে এবং তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে। তিনি সবাইকে নিজেদের অবস্থান থেকে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বন্ধু ক্লাবের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান মুন বলেন, “বর্তমান সময়ে পরিবেশ রক্ষা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। যদি এখনই সচেতন না হই, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ভয়ংকর পৃথিবী রেখে যেতে হবে। গাছ লাগানো যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তার পরিচর্যা করাও ততটাই প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষায় আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।”
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ বন্ধু ক্লাব শুধু গাছ লাগানোর কাজ করেনি, বরং তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ-সচেতন একটি সমাজ গঠনের বীজ বপন করেছে। এমন উদ্যোগ আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ুক—এ প্রত্যাশা সবার।