ময়মনসিংহে শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবি অপমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিএনপির নেতারা বলেছেন, এসব পরিকল্পিত অপমানের কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্পষ্ট করে দিয়েছে—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপমান, কটুক্তি বা হীন কার্যক্রম সহ্য করা হবে না। শনিবার, ১৯ জুলাই দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ নগরীর ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতারা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মহানগর জাসাসের (জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা) আয়োজনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। এর অংশ হিসেবেই শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির মতো ঘৃণ্য ও উসকানিমূলক কাজ করছে তারা। কিন্তু এসব অপকর্ম কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে তারা সাফ জানিয়ে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন,"শহীদ জিয়া এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তারেক রহমান হচ্ছে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব। যারা তাদের অপমান করে, তারা মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস ও জনগণের রায়কে অস্বীকার করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ জেগে উঠেছে। তারা বুঝে গেছে কে গণতন্ত্রের পক্ষে আর কে অপশাসনের দোসর। আমরা নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর জাসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রতন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক তারেক সালাউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, শিব্বির আহম্মেদ ভুলু, একেএম মাহাবুবুল আলম, যুবদল সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু এবং মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী খালেদা আতিক।
নেতারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে গিয়ে বিরোধী দলের ইতিহাস, আদর্শ ও নেতাদের চরিত্র হননের খেলায় মেতে উঠেছে। তবে ইতিহাস কখনো মুছে ফেলা যায় না। শহীদ জিয়ার নাম ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফিরে পাবে প্রকৃত গণতন্ত্র।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ সাগরসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণ করে বলেন, আমরা শহীদের রক্তকে ভুলে যাইনি। যারা জিয়ার ছবি অবমাননা করে, তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননার ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তারা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ করে জাসাসের নেতাকর্মীদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা শ্লোগান ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাঠকে মুখরিত করে তোলেন।
নেতারা জানিয়ে দেন, বিএনপি কাউকে আক্রমণ করে রাজনীতি করে না, কিন্তু নিজেদের নেতার সম্মান ও দলের আদর্শে কোনো ধরনের অবমাননা হলে তার জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে।