close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়লে আত্মত্যাগ হবে সার্থক : রাষ্ট্রপতি শনিবার, ঢাকা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত, সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।” শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে, চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সহযোগিতায় হানাদার বাহিনী দেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ বাঙালি জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন এবং শহীদ পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মুক্তিযুদ্ধের পেছনে বুদ্ধিজীবীদের অবদান রাষ্ট্রপতি বলেন, দীর্ঘ শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর পুরো জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন। যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সাফল্য এনে দেওয়ার পেছনে তাদের অসামান্য অবদান রয়েছে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে পুরো মুক্তিযুদ্ধকালেই বুদ্ধিজীবীরা টার্গেট ছিলেন। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, যেন একটি নতুন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে ওঠে।” তিনি আরও বলেন, “শহীদদের ত্যাগ ও বীরত্বকে স্মরণ রেখে আমাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব।” ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এর লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। এই হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এই রি-রাইট নিউজে মূল বক্তব্যের গভীরতা অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে এবং আকর্ষণীয় হেডলাইন তৈরি করা হয়েছে যাতে পাঠকরা সহজেই নিউজটি পড়তে আগ্রহী হন।
コメントがありません