close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শহীদ ৫ সাংবাদিকের পরিবারকে কোটি টাকার সহায়তা: বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক উদ্যোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পাঁচ সাংবাদিকের পরিবারকে প্রতিশ্রুত এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে আজ। বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফার
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পাঁচ সাংবাদিকের পরিবারকে প্রতিশ্রুত এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে আজ। বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চেক প্রদান করা হবে। এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি কালের কণ্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ সাংবাদিকদের পরিবারকে সম্মাননা স্মারকসহ দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তাদের জন্য এক কোটি টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, “এই টাকা প্রত্যেকের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করা হবে, যাতে পরিবারগুলো মাসিক মুনাফা পায় এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের জীবনযাত্রা নির্বাহে সহায়ক হয়।” শহীদ পাঁচ সাংবাদিক ও তাদের ত্যাগ এই পাঁচ সাংবাদিক দেশ ও জাতির কল্যাণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে শহীদ হন। তারা হলেন: হাসান মেহেদী (ঢাকা টাইমসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক) তাহির জামান প্রিয় (দ্য রিপোর্ট ডটলাইভের সাবেক ভিডিও জার্নালিস্ট) শাকিল হোসেন (দৈনিক ভোরের আওয়াজের গাজীপুর প্রতিনিধি) আবু তাহের তুরাব (দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরোপ্রধান) প্রদীপ ভৌমিক (দৈনিক খবরপত্রের সাংবাদিক) সংবাদ সংগ্রহের সময় শহীদ হওয়া এসব সাহসী সাংবাদিকের পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহায়তায় স্বস্তি পেয়েছেন। শহীদ পরিবারগুলোর প্রতিক্রিয়া হাসান মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম পপি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই সহায়তা আমার অনেক উপকারে আসবে। কৃতজ্ঞতা জানাই বসুন্ধরা গ্রুপকে।” তাহির জামান প্রিয়ের মা সামসিয়ানা জাহান বলেন, “আমি একজন শহীদের মা। আশা করিনি এমন সম্মান পাবো। বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সাংবাদিকদের পাশে থাকবে, এটাই কামনা করি।” শাকিল হোসেনের বাবা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, “সন্তানহারা পিতা আমি, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। বসুন্ধরা গ্রুপ পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা স্বস্তি পেলাম।” বসুন্ধরা গ্রুপের দায়িত্বশীল ভূমিকা বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয়, বরং দেশের কল্যাণে নিবেদিত একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের এ ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও উৎসাহিত করবে। এ ধরনের মানবিক পদক্ষেপ সাংবাদিকদের সাহস ও দায়িত্বশীলতার মূল্যায়নের প্রতীক। এটি নিঃসন্দেহে মিডিয়া জগতের জন্য একটি যুগান্তকারী উদাহরণ হয়ে থাকবে।
لم يتم العثور على تعليقات