close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শেরপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু

a m abdul wadud avatar   
a m abdul wadud
প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বাস সার্ভিস। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের ঢেউ বইছে। বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল থেকে এ সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ ..

শেরপুর  সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বাস সার্ভিস। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের ঢেউ বইছে। বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল থেকে এ সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে চারটি বাস চারটি পৃথক রুটে চলাচল করবে। প্রতিটি বাস নির্ধারিত রুটে কলেজ শুরুর সময় শিক্ষার্থীদের কলেজে নিয়ে আসবে এবং ছুটির পর নিজ নিজ রুটে ফেরত নিয়ে যাবে। এই সুবিধা পেতে শিক্ষার্থীদের কলেজ আইডি কার্ড প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাস চলাচলের নির্ধারিত রুটসমূহ:

রুট-০১: ঝিনাইগাতী বাজার – আহম্মদনগর – পাগলার মোড় – তিনানী বাজার ব্রিজ – কাঠালতলী – কোয়ারী রোড – জুলগাঁও নতুন সড়ক – কালীবাড়ী বাজার – বাজিতখিলা – তাতালপুর – শেরপুর সরকারি কলেজ।

রুট-০২: শেরপুর ব্রিজ (ব্রহ্মপুত্র সেতু) – ব্যাঙের মোড় – আমতলী বাজার – শিমুলতলী বাজার – পোড়াদহ বাজার – নন্দীর বাজার – নতুন সড়ক – বটতলা – কুসুমহাটী – শেরী ব্রিজ – শেরপুর সরকারি কলেজ।

রুট-০৩: মাঝপাড়া – বটতলা – শ্রী বরদী বাজার – মাটিয়াকুড়া – গাবতলী – তেনাচিড়া ব্রিজ – ভারেরা – কুরুয়া বাজার – কুড়িকাহনিয়া বাজার – ইন্দিলপুর বাজার – চিথলিয়া – আখের মাহমুদ বাজার – খোয়ারপাড় – শেরপুর সরকারি কলেজ।

রুট-০৪: গৌড়দ্বার – পাইস্কা মোড় – নকলা হলপট্টি – গণপদ্দী বাজার – তারাকান্দি বাজার – কানাশাখোলা বাজার – অষ্টমীতলা – শেরপুর সরকারি কলেজ।

কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ্ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসেন। অনেকেরই প্রতিদিন যাতায়াতে ১৫০-২০০ টাকা খরচ হয়। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতেই এ সিদ্ধান্ত।’

অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ছাত্রদের জন্য ইতোমধ্যে হলের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ মাহবুব হল। ছাত্রীদের জন্য নতুন হল চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। এবার বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ও সাশ্রয়ীভাবে কলেজে আসা-যাওয়া করতে পারবে।’

এই উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই জানিয়েছেন, আগে সময়মতো গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কলেজে আসতে হতো, এখন কলেজ বাস থাকায় সে কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বাসের সংখ্যা ও রুট বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

نظری یافت نشد