শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায়ের পরদিন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পুলিশের উপস্থিতিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রকাশ্য মিছিল ঘিরে তোলপাড়।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পুলিশের উপস্থিতি ও গাড়ি থাকা সত্ত্বেও কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ এবং সাবেক ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে প্রকাশ্য মিছিল বের হওয়ায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায়। স্থানীয় যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটুর নেতৃত্বে এই মিছিলে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
বিষয়টি আরও চাঞ্চল্যকর হয়ে ওঠে কারণ এই মিছিলটি বের হয় ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার (১৭ নভেম্বর), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কর্তৃক শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত রায় ঘোষণার পর। নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যেই পুলিশের সামনে এই ধরনের প্রকাশ্য মিছিল দেখে স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ হতবাক হয়ে যান।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সবচেয়ে বিতর্কিত দিকটি হলো, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা যখন স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন পুলিশের একটি টহল গাড়িকেও তাদের সঙ্গে চলতে দেখা যায়।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ডিউটিরত পুলিশের একটি টহল গাড়ি মিছিল চলাকালীন সময় ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। তবে তাঁর দাবি, "আমাদের অফিসার বুঝে ওঠার আগেই তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।" এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে এক হাজার ৪০০ মানুষের প্রাণহানি এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে মারাত্মক আহত করার অভিযোগের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছিল।



















