close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ: দিল্লির কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া এক নেতা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
একসময় ক্ষমতার চূড়ায় থাকা এই নেতা আজ দিল্লির কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের মতোই ভবিষ্যৎহীন..

বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু দিল্লির কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের মতোই তাঁর ভবিষ্যৎ এখন ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। ভারত তাঁকে ঠাঁই দিলেও কার্যত বন্দী অবস্থায় আছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মহলে একের পর এক প্রমাণ উঠে আসছে তাঁর অপরাধের, যা তাঁর দেশে ফেরার সম্ভাবনাকে ক্রমশ অনিশ্চিত করে তুলছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে, যা হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে।


দিল্লির আকাশ এখন ঘন ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন, যেখানে শ্বাস নেওয়াও দুষ্কর। ভারতের প্রশাসন নাগরিকদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু পালিয়ে আসা শেখ হাসিনার জন্য এটি একপ্রকার আশীর্বাদ। কারণ, তিনি এমনিতেই প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না।

বাংলাদেশের মসনদ হারিয়ে আজ তিনি দিল্লিতে নির্বাসিত। তাঁর একসময়কার বিশ্বস্ত সঙ্গীরা এখন দূরত্ব বজায় রাখছেন। এমনকি, যারা একসময় হাসিনার বন্দনায় মুখর ছিলেন, তারাও আজ বলছেন, তাঁরা ভুল করেছেন। একসময় টেলিভিশন দখল করে রাখা হাসিনা এখন ফেসবুক লাইভেও আসতে পারছেন না, কেবল অডিওর মাধ্যমে তাঁর কণ্ঠ শোনা যায়।


আন্তর্জাতিক মহলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম বৈঠকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।

মূল পয়েন্ট:

  • ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের আন্দোলন দমনে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।

  • জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে গুরুতর নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

  • ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রমাণ উঠে এসেছে।

  • প্রতিবেদন অনুসারে, পতিত হাসিনা সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক মহলে হাসিনার ভাবমূর্তি আরও ক্ষুন্ন হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে।


দেশে ফেরা অসম্ভব: হাসিনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

হাসিনা হয়তো ভেবেছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাবে, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এখন তাঁর দেশে ফেরাও একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একসময় যারা তাঁকে রক্ষা করত, তারাই এখন দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশে তাঁর ফেরার রাস্তা যে ক্রমশ সংকীর্ণ হচ্ছে, তা স্পষ্ট। তাঁর একসময়ের দলও ভেঙে পড়েছে, বিশ্বস্ত সহযোগীরাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। একসময় সব নিয়ন্ত্রণ করা হাসিনা আজ দিল্লির এক কোণে নিশ্চুপ।


হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন পরিস্কারভাবে অনিশ্চিত। তিনি না পারেন প্রকাশ্যে আসতে, না পারেন দেশে ফিরতে। একসময় ক্ষমতার চূড়ায় থাকা এই নেতা আজ দিল্লির কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের মতোই ভবিষ্যৎহীন। হয়তো শিগগিরই তাঁকে বলতে শোনা যাবে, “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না... হাসি বন্ধ!”

לא נמצאו הערות