close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: হাইকোর্টের রায়ে ফাঁসির ৯ আসামি সহ ৪৭ জন খালাস!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
এটি বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ আইনগত সিদ্ধান্ত, যা দেশের রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৯৪
এটি বাংলাদেশে এক গুরুত্বপূর্ণ আইনগত সিদ্ধান্ত, যা দেশের রাজনীতি ও বিচার ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালে করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে বিপুল পরিবর্তন এসেছে। বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ মোট ৪৭ জন আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এই মামলায় আসামিদের মধ্যে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তবে এখন তারা সবাই খালাস পেয়েছেন। এ রায়ের পর, আসামিদের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, বিচারিক আদালতের রায় ছিল প্রতিহিংসাপরায়ণ। তিনি দাবি করেন, ২০১৯ সালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়টি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য ওই রায় দেওয়া হয়েছিল এবং সকল দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন বিএনপির নেতাকর্মী। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত সবাইকে খালাস দেয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো যথাযথ প্রমাণ ছিল না। মামলার মূল ঘটনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর, যখন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে। ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলা চালান। এই হামলার ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শুরু করে এবং ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই, আদালত ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। পরে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। এ সিদ্ধান্তটি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, যেখানে রাজনৈতিক ও আইনগত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
Ingen kommentarer fundet


News Card Generator