close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

শেখ হাসিনা পা লি য়ে গেছে তো কি হয়েছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতা পেলে ফি লি স্তি নের মত হবে ,লেখা চিরকুটে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার একটি বাজারে স্থানীয় বিএনপি অফিসের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি বোমাসদৃশ বস্তু ও বিস্ফোরক বার্তাসংবলিত একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে চরম উত্তেজ..

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওদা মটমুড়া গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটে যায় এক নাটকীয় ঘটনা। নওদা বাজারে অবস্থিত স্থানীয় বিএনপি অফিসের সামনে হঠাৎ করেই দুটি রহস্যময় বস্তু পড়ে থাকতে দেখা যায়, যা দেখতে অনেকটা বোমার মতো। এগুলোর একটির গায়ে ছিল লাল টেপ ও অন্যটির গায়ে কালো টেপ। বিষয়টি চোখে পড়ার পরপরই স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বাজারে যাওয়ার সময় তারা ওই বস্তু দুটি দেখে চমকে যান। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে স্থানীয় জনগণ দ্রুত পুলিশকে অবহিত করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বোমাসদৃশ বস্তু দুটি নিরাপদে উদ্ধার করে। সঙ্গে মেলে একটি চিরকুট, যা নতুন করে তৈরি করেছে রাজনৈতিক আলোড়ন।

পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত চিরকুটটিতে লেখা ছিল,শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে তো কী হয়েছে? জায়গার মাল জায়গাতেই বসে আছি। ভবিষ্যতে ক্ষমতা পেলে ফিলিস্তিনের মত হবে।
চিরকুটের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে দেখা দিয়েছে নানা গুঞ্জন ও প্রশ্ন।

গাংনী থানা পুলিশের এসআই আব্দুল করিম জানান, “খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাসদৃশ বস্তু ও একটি চিরকুট উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে এগুলো বাস্তব বোমা কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, এলাকাবাসী যাতে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়, সে জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিষয়টি কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি শুধুই ভয়ভীতির চক্রান্ত—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত হবে বলে আশা পুলিশের।

এদিকে পুরো ঘটনায় সাধারণ মানুষ ভীত ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার পটভূমিতে এমন ঘটনাগুলো ভবিষ্যতের আরও বড় অস্থিরতার ইঙ্গিত বহন করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিরকুটে "ফিলিস্তিনের মতো" হওয়ার হুমকি সরাসরি একটি আন্তর্জাতিক উত্তেজনাপূর্ণ প্রসঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করে। এটি যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়ানো হয়ে থাকে, তবে তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। তদন্তের পর এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা রয়েছে, তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

বর্তমানে বোমাসদৃশ বস্তু দুটি পরীক্ষা ও চিরকুটের উৎস অনুসন্ধানের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।

ঘটনাটি নিছক একটি স্থানীয় ঘটনা হলেও এর প্রভাব পড়েছে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য এবং মাঠ পর্যায়ের প্রতিক্রিয়াগুলো পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তের ফলাফল কী আসে এবং এর ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

Inga kommentarer hittades