নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক কর্মীসভাকে ঘিরে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, বন্দর উপজেলা শাখার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয় গত ৭ জুলাই (রোববার)। স্থান ছিল বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী এলাকার আলী আহাম্মদ কমিউনিটি সেন্টার।
সভাটি আয়োজন করে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিভাগীয় টিম প্রধান এম.জি. মাসুম রাসেল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সরাসরি নাম উল্লেখ করে বলেন, “নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের মত গুন্ডাবাহিনীর হুমকিতে বিএনপি কখনো রাজপথ ছাড়েনি। বরং আরও সাহসিকতার সাথে কাজ করেছে। স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু আর গুন্ডাদের হুংকারে বিএনপি ভয় পায় না, কারণ এই দল জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বেচ্ছাসেবক দল মানেই স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে জনগণের সেবায় কাজ করা। এই দলে পদ-পদবি পেয়ে কেউ যদি ড্রেজার সন্ত্রাস বা জমি দখলের চিন্তা করে, তাহলে তারা যেন এখান থেকে বিদায় নেয়। এই সংগঠন বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে গড়া একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিষ্ঠান।”
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এম আর গনি মোস্তফা। সভার সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধান, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব সোহেল প্রধান।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা। বক্তারা সবাই দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শের প্রতি আনুগত্য এবং জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন রানা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামালউদ্দিন মীর্জা জনি এবং সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু।
স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, মো. লিমন, মো. শামীম এবং সদস্য মো. উজ্জল, ইসমাইল হোসেন, মো. মামুন, কামালসহ আরও অনেকে।
কর্মীসভা শেষে ৫টি ইউনিয়নের কর্মীদের মাঝে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়, যা ভবিষ্যৎ সাংগঠনিক কাজকে আরো গতিশীল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতারা।
এই কর্মীসভা শুধু একটি সাংগঠনিক আয়োজন নয়, বরং তা ছিল বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির মাঠের শক্তি ও সাহসিকতার এক সরব প্রকাশ।