close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

শাহবাগের চক্রান্তকারীরা ফের সক্রিয় হচ্ছে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিপ্রেক্ষিতে বিচার ও আইন শৃঙ্খলার গুরুত্ব
শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকের প্রতিক্রিয়া
অস্তিত্বহীনতা ও আন্দোলনের পেছনের চালচিত্র..

ঢাকার বিভিন্ন অংশে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে এমন এক আন্দোলনের চিত্র, যেখানে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যানারের নাম তলে অস্থিতিশীলতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন শাখা—কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে যে, এই আন্দোলনের পেছনে এমন নেতাদের হাত রয়েছে যারা দেশের স্বার্থ ক্ষতির জন্য কাজ করছে।

শাহবাগে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাক্রমে অভিযোগ উঠেছে, যে ২০১৩ সালের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে বর্তমানে, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আন্দোলন আনা হচ্ছে। তথ্যমতে, জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসনের অপসারণের পরেও কিছু পুরোনো ও নতুন সংগঠন, ব্যানার ও নেতাদের কর্মকাণ্ড দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এসব সংগঠনের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের অনুচর এবং শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের কিছু সদস্যের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র অনুসারে, এসব আন্দোলনের পেছনে কে তাদের ইন্ধন দিচ্ছেন, তা নিয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধানের কাজ চলছে। পুলিশের উচ্চতর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও মারধরের পেছনে কিছু নেপথ্য দুর্বৃত্তের কার্যক্রম রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাক্তন ও বর্তমান নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই ধরনের অস্থিতিশীলতা প্রতিহত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ও ছাত্র সমাজের নেতারা এবিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেশের শাসন ব্যবস্থায় ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান নেই। এদিকে, কিছু তরুণ ও তরুণী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্দোলনের পক্ষপাতিত্বে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এসব ঘটনায় অপরাধের দায়ীদের শনাক্তকরণের ব্যাপারে জোর দিয়ে কাজ করছে, যাতে অস্থিরতার পেছনে থাকা সকল কার্যকলাপ নির্লজ্জভাবে উন্মোচিত হতে পারে।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের উচ্চতর কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আন্দোলনের পেছনে যদি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি বা বিদেশি এজেন্টের কোনো ছোঁয়া থাকে, তা নিয়ে যথাযথ তদন্ত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে এমনই কিছু সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, যাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, দেশের স্বার্থ রক্ষায় ও জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট। দেশের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, যা একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে দেশের স্বার্থের ওপর সরাসরি আঘাত হানছে, তা থেকে বিরত থাকতে সকলেরই গভীর ও স্পষ্ট প্রতিরোধ প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে, যারা অস্থিরতার প্রয়াস চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে দেশের রাজনৈতিক নেতারা ও ছাত্র সমাজের বিভিন্ন সংগঠন কড়া সতর্কতা প্রদান করেছেন। চলমান এই আন্দোলন ও বিভিন্ন দলের কার্যকলাপের সঠিক বিশ্লেষণ ও তদন্ত দেশের ন্যায়পরায়ণ বিচার প্রক্রিয়া ও আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অপরিহার্য।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি