close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

শাহবাগে পুলিশের গুলিতে দুই মাদ্রাসা শিক্ষক নিহতের খবর সত্য নয়, ফেসবুকে ছড়ানো তথ্য মিথ্যা!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যবহারকা
রাজধানী ঢাকার শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে দুইজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তবে, তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান "রিউমর স্ক্যানার"-এর অনুসন্ধানে এসব দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি, শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। শিক্ষকদের দাবি ছিল তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হোক, যা নিয়েই তারা শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। এই সময়ে পুলিশ তাদের আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। পাশাপাশি, পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে পুলিশ শিক্ষকদের লাঠিপেটাও করে। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয় যে, পুলিশের গুলিতে দুইজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এমন কোনো মৃত্যুর খবর সত্য নয়। বরং, এ সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন মোট ছয়জন শিক্ষক, যারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন আনোয়ার হোসেন (৩৫), ফরিদুল ইসলাম (৩০), আমিনুল (৩৫), মিজানুর রহমান (৩৫), বিন্দু ঘোষ এবং মারুফা আক্তার (২৫)। তারা সবাই ইবতেদায়ি শিক্ষক বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও এই সংঘর্ষে কোনো শিক্ষক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের পর জানা যায়, ঘটনার পর থেকে এই মুহূর্ত পর্যন্ত কোনো শিক্ষক মারা যাননি। এদিকে, রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর খবরটি একেবারেই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। তারা জানিয়েছে, যদিও সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন, কিন্তু নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়া এবং গুজবের চাপে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। তাই, সকলকে নিশ্চিত হওয়ার পরই এমন খবর শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সঠিক তথ্যের গুরুত্ব: এই ঘটনায় সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা খুবই জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়। সংবাদ মাধ্যম এবং তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করছে, যা সমাজে অবিশ্বাস এবং বিভ্রান্তি কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া, পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া প্রয়োজন, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক এবং নিরাপদ পরিবেশে তাদের দাবি জানাতে পারে।
Aucun commentaire trouvé


News Card Generator