close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শাহবাগ দখল করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চেয়েছিলেন সুমাইয়া..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Major Sadiq’s wife, Sumaiya Jafrin, allegedly led a secret guerrilla training involving banned Awami League members, aiming to seize Shahbagh and destabilize the country, according to explosive court ..

রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক ও গেরিলা প্রশিক্ষণের আয়োজনের নেপথ্যে ছিলেন মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন। জবানবন্দিতে উঠে এসেছে শাহবাগ দখল করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য।

 

রাজধানীর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এক গোপন বৈঠক ও গেরিলা প্রশিক্ষণের ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া তথ্য অনুযায়ী, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি দল সম্প্রতি রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপনে প্রশিক্ষণ নেয়। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করা এবং দেশে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য বিশেষ কোড ব্যবহার করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ঢাকায় সমবেত হয়ে শাহবাগ মোড় দখল করবে। এরপর জনগণের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বৈঠকে উপস্থিত সবাই শপথ গ্রহণ করেন।

জবানবন্দিতে গ্রেফতার চালক লীগের সভাপতি মিলন শিকদার জানান, মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন নিজ হাতে এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন। হাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে তিনি পরিকল্পনার প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। এই বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন ২০০-৩০০ জন এবং আরও অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। মিলন দাবি করেন, সোবহান গোলন্দাজ নামের এক আওয়ামী লীগ সমর্থক তাকে বৈঠকে নিয়ে যান।

আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী, সুমাইয়া ও তার স্বামী পূর্বাচল ও মিরপুর ডিওএইচএসে একাধিকবার রাষ্ট্রবিরোধী বৈঠক করেছেন। এছাড়া উত্তরার প্রিয়াংকা সিটিতে অবস্থিত সুমাইয়ার ব্যক্তিগত ফ্ল্যাটেও গোপন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সূত্র বলছে, এই বৈঠকগুলোতে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সুমাইয়া ইউনিলিভার বাংলাদেশের টেরিটরি ম্যানেজার হিসেবে টঙ্গী গাজীপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী মেজর সাদেকুল হককে সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে আটক করেছে এবং একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে এবং তদন্ত শেষে সেনা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৮ জুলাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে গোপন বৈঠক করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেয়, যার মধ্যে ছিলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। বৈঠকে তারা সরকারবিরোধী স্লোগানও দেন।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া কার কী ভূমিকা ছিল এবং ভবিষ্যতে আরও কোনো পরিকল্পনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানীর মতো সংবেদনশীল এলাকায় শাহবাগ দখলের পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে একটি বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা এড়ানো গেছে।

Hiçbir yorum bulunamadı