close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

শা মী ম ওস মানের দুই প্লট জ ব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুদকের অভিযানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দুই প্লট ক্রোক ও ২৯ ব্যাংক হিসাবসহ কোটি টাকার সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দিয়েছে আদালত, দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত তীব্রতর হচ্ছে।..

দুর্নীতির অভিযোগে তলব ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তারি এড়াতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সম্পদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে আদালত। রাজধানীর ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত আজ রবিবার দুদকের আবেদন গ্রহণ করে তার নামের পূর্বাচল ও উত্তরা এলাকার দুটি প্লট ক্রোকের (জব্দ) আদেশ দেয়।

এছাড়া শামীম ওসমান এবং তার পরিবার—স্ত্রী সালমা ওসমান, ছেলে ইমতিনান ওসমান, মেয়ে লাবিবা জোহা অঙ্গনা, ও পুত্রবধূ ইরফানা আহমেদ রাশমীর নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক হিসাবের মোট ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয় আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক রেজাউল করিম এ মামলায় আদালতে আবেদন করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রমের স্বার্থে এবং সম্পদ বিক্রয় ও টাকা উত্তোলন রোধে দ্রুত এই ধরনের পদক্ষেপ জরুরি।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, আবেদনপত্রে বলা হয়, শামীম ওসমানসহ সংশ্লিষ্টরা পলাতক অবস্থায় থাকার কারণে সম্পদের অবৈধ লেনদেন এবং স্থানান্তরের মাধ্যমে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ‘দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর বিধি-১৮ এবং ‘মানিলন্ডারিং আইন ২০১২’ এর ধারা-১৪ অনুযায়ী সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এই আদেশের ফলে শামীম ওসমানের সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব থেকে কোনও টাকা উত্তোলন বা বিক্রয় করা যাবে না, যা তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করবে। বর্তমানে শামীম ওসমান দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে শামীম ওসমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফায় দুদকের অনুসন্ধান চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, জনসাধারণের অর্থ অনিয়ম এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন তারা।

নির্বাচনী এলাকার মানুষের প্রত্যাশা ছিল শামীম ওসমানের উন্নয়ন কাজের ছাপ দেখা যাবে, কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান তদন্ত শেষে প্রয়োজন হলে আরও সম্পদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার এবং বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের নানা রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় সংকল্পের পরিচায়ক।

শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে চলমান মামলা ও তদন্তে দেশের বিচার ব্যবস্থা কতটা কার্যকর, সেটাই এখন দেখার বিষয়। জনগণও আশা করছে যে, এই প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

Geen reacties gevonden