close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার, হাসনাত আবদুল্লাহ নিয়ে ভুয়া খবরের আসল সত্য উদঘাটন!


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে সেনাবাহিনী গ্রেফতার করেছে—সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন এক ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) নকিব আশরাফ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দাবি করা হয়, সন্ধ্যা ৬টায় সেনাবাহিনী হাসনাতকে গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর মুক্তি দেয়। এর পক্ষে একটি ফটোকার্ডও প্রচার করা হয়, যা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আদলে তৈরি।
ফ্যাক্টচেকের ফলাফল:
স্বাধীন ফ্যাক্টচেক প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার জানায়, এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনুসন্ধানে উঠে আসে, ঘটনার সময় হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সকাল থেকে কুমিল্লাতেই অবস্থান করছিলেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রিউমর স্ক্যানার আরও জানায়, ফেসবুকে প্রচারিত দাবির সাথে দেওয়া লিংকটি একটি ব্লগস্পট সাইটের, যা একটি অবিশ্বস্ত ও ভুঁইফোঁড় সোর্স। সাইটটিতে হাসনাতের গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তবে উল্লেখিত সময়ের ঘটনায় স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদমাধ্যমে তার উপস্থিতির নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সত্য উদঘাটন:
১. হাসনাতের অবস্থান:
সন্ধ্যা ৭টায় দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
২. অন্যন্য প্রমাণ:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুমিল্লার কাগজের ইউটিউব চ্যানেলে হাসনাতের বক্তব্যের ভিডিও পাওয়া গেছে।
৩. আইএসপিআর-এর বক্তব্য:
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) স্পষ্ট জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর হাতে হাসনাত গ্রেফতারের দাবি ভিত্তিহীন।
ভুয়া ফটোকার্ডের রহস্য:
দেশ টিভির একটি পুরনো পোস্টের ছবি ব্যবহার করে তা সম্পাদিত করে ভুয়া খবর প্রচার করা হয়েছে। মূল পোস্টে বলা হয়েছিল, "হাসনাত আবদুল্লাহসহ তিনজনের ফেসবুক আইডি নষ্ট।" কিন্তু সেটিকে পরিবর্তন করে "সেনাবাহিনীর হেফাজতে" লেখাটি বসিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
সতর্কবার্তা:
এ ধরনের ভুয়া তথ্য সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে পারে। তাই যাচাই ছাড়া কোনো খবর শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।
نظری یافت نشد