close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন: ত্রাণ ও সংস্কার উদ্যোগের তাগিদ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত এলাকায় পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকার..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া ও বালিয়া অঞ্চলে কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রাণী সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই '২৫) এই পরিদর্শনের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ হোসেন এবং খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু। এছাড়াও সাবেক চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক এস এম লিয়াকত হোসেন, ইউপি সদস্য আনিছুর রহমানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং শতাধিক নারী ও পুরুষ উক্ত স্থানে উপস্থিত ছিলেন।

গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টির কারণে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া, খেশরা এবং খলিষখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে কপোতাক্ষ নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে এসব এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে তারা স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করছেন। তবে এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় এবং জরুরী ভিত্তিতে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে ডুমুরিয়া, খেশরা, শাহজাতপুরসহ প্রায় ১০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রাণী সরকার বলেন, 'আমি ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি এবং যত দ্রুত সম্ভব কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।' তিনি আরো জানান, এই ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।

এই ভাঙ্গন ও তার প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, 'প্রতি বছর বর্ষাকালে আমাদের এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। যদিও কিছু মেরামতের কাজ হয়, কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।' তারা অবিলম্বে সরকারি সহায়তা এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি করেন।

কপোতাক্ষ নদের এই ভাঙ্গন শুধুমাত্র সম্পত্তি এবং ফসলের ক্ষতি করে না, এটি স্থানীয় অর্থনীতি এবং সমাজের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রেও এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে।

এমতাবস্থায়, সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ কার্যক্রম এবং বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জনসাধারণের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।

Không có bình luận nào được tìm thấy