সাতক্ষীরায় জমি বিরোধের জেরে শিক্ষকের ওপর হামলা, অবস্থা আশঙ্কাজনক..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার তালায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষক নুর ইসলাম শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দোহার গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মোঃ নুর ইসলাম শেখ (৪৪), বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। উক্ত ঘটনায় তালা থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন আহত শিক্ষক। 

আহত নুর ইসলাম শেখ, দোহার গ্রামের মোঃ মোকবুল শেখের পুত্র এবং বাডুলি ভুবন মোহিনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী মমতাজ বেগম, যিনি নিজেও একজন শিক্ষিকা, জানান যে, সোমবার সকালে তার স্বামী জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় দোহার গ্রামের মৃত রওশন শেখের পুত্র জাহিদুল শেখ ও মোঃ সাহেব আলী শেখ এবং মৃত জেহের আলী শেখের পুত্র মোঃ আমজেদ শেখসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত আচমকা হামলা চালায়। ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। 

তারপর গুরুতর আহত অবস্থায় নুর ইসলামকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতের মাথায় ১৩টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। 

আহত শিক্ষক মোঃ নুর ইসলাম শেখ বলেন, "আমরা স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পেশায় শিক্ষক এবং এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে উক্ত দুর্বৃত্তরা আমাদের সঙ্গে জমি-জমা নিয়ে বিবাদ করে আসছে এবং সবসময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এরই সূত্র ধরে গত সোমবার সকালে আমার ওপর হামলা করা হয়। আমি উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।" 

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাইনউদ্দিন জানান, "এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। উক্ত ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন মোঃ নুর ইসলাম শেখ। বিষয়টি তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" 

এই ঘটনার ফলে দোহার গ্রামে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন যে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকে এমন সহিংসতার ঘটনা এই গ্রামে নতুন নয়। তবে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন। 

এই হামলার ঘটনাটি স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। 

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর ইসলামের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ডাক্তারদের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তার পরিবার এবং সহকর্মীরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন।

Nessun commento trovato


News Card Generator