close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধে টালবাহানা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বকেয়া মজুরি পরিশোধে টালবাহানার অভিযোগ উঠেছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন-২ নির্মাণ কাজের বকেয়া প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকা মজুরী পরিশোধ না করে তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

শনিবার (২৮ জুন'২৫) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের ওমর আলী মোড়লের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক ওবায়দুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন অধ্যক্ষ প্রফেসর আফজাল হোসেন ও উপাধ্যক্ষ মোঃ আমানউল্লাহ আল হাদীর তত্ত্বাবধানে ৫ তলা প্রশাসনিক ভবন-২ এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এজন্য প্রতি স্কয়ার ফুট ২’শ টাকা হারে চুক্তিমূল্য নির্ধারিত হয়। ইতোমধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের মাঝেই কিছু টাকা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রফেসর আমানউল্লাহ আল হাদী বদলী হলে নতুন প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দেন প্রফেসর আবুল হাশেম। তিনি যোগদান করেই ভবনটি অবৈধ ও নির্মাণ সংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব তার কাছ নেই উল্লেখ করে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে, নির্মাণের বিষয়টি কলেজের সকলেই জানেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত শিক্ষকদের একটি টিম আমাদের মজুরী বাবদ পাওনা টাকা হিসাব করে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হিসাব মতে ৩৫ হাজার স্কয়ারফুট কাজের মোট বিল হয় ৭০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ৪৩ লক্ষ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। বকেয়া রয়েছে ২৭ লক্ষ টাকা। আপোষের ভিত্তিত ১০ লক্ষ টাকা ছেড়ে দিলেও এখনো ১৭ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। যা পরিশোধ না করে তালবাহানা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, কষ্টার্জিত শ্রমের মূল্য না পেয়ে শ্রমিকরা বর্তমন মানবেতার জীবনযাপন করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার জন্য গিয়েছিলাম। তারা টাকা পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। প্রতিউত্তর আমরাও বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে সেখানে কোনা নির্মাণ শ্রমিক কাজ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছি। একই সাথে অবিলম্বে বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বকেয়া মজুরী পরিশোধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এই সমস্যার সমাধান না হলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রা আরও সংকটাপন্ন হতে পারে এবং ভবিষ্যতে শ্রমিক আন্দোলনও জোরদার হতে পারে।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator