close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরা সীমান্তে চার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দিল বিএসএফ

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে চার বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তের কাছে মঙ্গলবার (২৪ জুন '২৫) সন্ধ্যায় চারজন বাংলাদেশিকে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) থেকে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) এর হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই হস্তান্তর কার্যক্রমটি আন্তর্জাতিক আইন মেনে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিএসএফ এর আমুদিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার বিকাশ কুমার এবং তলুইগাছা বিওপির (বর্ডার আউট পোস্ট) কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবুল কাশেমসহ উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হস্তান্তর হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের মাজেদ মোড়লের কন্যা রেবেকা বেগম ও ছেলে বদিয়ার রহমান এবং খুলনা জেলার কয়রা থানার ঘুগরাকাটি গ্রামের আলীম মোড়লের কন্যা রানিমা খাতুন এবং তার শিশু কন্যা আয়েশা খাতুন।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এই চারজন কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। গত কয়েকদিনে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিএসএফ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে, তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিশ্চিত হওয়ার পর উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যস্থতায় তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানিয়েছেন যে, মঙ্গলবার রাতে বিজিবি সদস্যরা চার বাংলাদেশিকে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে যাচাই বাছাই শেষে তাদেরকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এই ঘটনা সীমান্ত অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যার দিকটি তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের সন্ধানে এভাবে প্রতিনিয়তই অনেক মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে, যা তাদের জীবনের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন।

সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কিভাবে কার্যক্রম আরও জোরদার করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন উভয়ই আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

कोई टिप्पणी नहीं मिली