close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ভারতীয় শাড়ি ও ঔষধ জব্দ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযানে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়ি ও ঔষধ জব্দ করেছে বিজিবি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে। সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলার পদ্মশাখরা, তলুইগাছা, কাকাডাঙ্গা, মাদরা, হিজলদী, চান্দুড়িয়া ও ব্যাটালিয়ন সদরের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১ জুন '২৫) এসব মালামাল জব্দ করা হয়। তবে, অভিযানের সময় বিজিবি কোনো চোরাকারবারীকে আটক করতে পারেনি।

বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল পদ্মশাখরা মাঠ নামক স্থান থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের এবং তলুইগাছা বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল কেড়াগাছি নামক স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ জব্দ করে।

এছাড়া, কলারোয়া উপজেলার চান্দুড়িয়া বিওপি’র পৃথক দুটি বিশেষ আভিযানিক দল কাঁদপুর ও গোয়ালপাড়া নামক স্থান থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ ও শাড়ি, মাদরা বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল বেড়ালী আমবাগান নামক স্থান থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ, কাকাডাঙ্গা বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল গেড়াখালী নামক স্থান থেকে ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, হিজলদী বিওপি’র বিশেষ আভিযানিক দল গোবরপোতা নামক স্থান থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ এবং ব্যাটালিয়ন সদর এর বিশেষ আভিযানিক দল কাঁদপুর আমবাগান নামক স্থান থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় ক্রিম জব্দ করে। 

জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। তবে, বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা উক্ত মালামাল অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করার সময় তা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালানোর গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোরাচালান বন্ধ করতে প্রশাসনের সাথে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। চোরাচালানের ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তাই, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা জরুরি।

চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি’র এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ। তাদের মতে, এই ধরনের অভিযান সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে, চোরাচালান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিজিবি’র প্রচেষ্টা এবং পদক্ষেপসমূহ দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Nema komentara