কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং সাধারণ ছাত্র-জনতাই শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (জাপ) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনসাধারণ।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রংপুর মহানগরীর হোটেল তিলোত্তমায় প্রেসব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সমন্বয়ক আতিক মুজাহিদ, মহানগর প্রধান সমন্বয়কারী সাদিয়া ফারজানা দিনা, জেলা সমন্বয়কারী আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
সারজিস আলম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত না করে, শহীদ পরিবারগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এবং '২৪-এর গণহত্যা, শাপলা-বিডিআর হত্যার বিচার না করে যদি সরকার দায়সারা নির্বাচন করতে চায়, তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধারা।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শহীদ ও আহতদের কথা ভুলে গিয়ে সরকার যদি শুধু নির্বাচনের কথা বলে, তাহলে বাংলাদেশে মানুষের কাছে এই সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে শহীদ পরিবারগুলোর জন্য সরকার কোনো মাসিক ভাতা দেওয়া শুরু করেনি; তারা দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। তাই দ্রুত তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে, রংপুর জেলা ও মহানগর এনসিপির সমন্বয় কমিটির সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করেন সারজিস আলম। এই সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে অনেক নেতাকর্মী জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগ দেন, যা উত্তরাঞ্চলে দলটির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
সারজিস আলমের এই বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার, নিরাপত্তা ও আর্থিক সাহায্যের দাবিকে আরও জোরালো করল এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিল।