সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার: সারজিসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে গাজীপুরে মানহানি মামলা করা হয়েছে।..

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাসন থানা বিএনপির সভাপতি তানভীর সিরাজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলাটি করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সাংবাদিক তুহিনকে অপরাধী চক্রের ভিডিও ধারণের কারণে হত্যা করা হয়। সারজিস আলম ফেসবুকে এই ঘটনায় বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালিয়েছেন, যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। তানভীর সিরাজ বলেন, “এরই মধ্যে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছেন। যেখানে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। দলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি বাদী হয়ে মামলা করলাম। আশা করি, ন্যায়বিচার পাব।” 

৭ আগস্ট রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লেখেন, ‘গাজীপুরে এক বিএনপি নেতার চাঁদাবাজি নিয়ে নিউজ করায় দুপুরে আনোয়ার নামের এক সাংবাদিককে ইট দিয়ে থেঁতলে দেয় বিএনপির কর্মীরা।’ পরের দিন সকালে তিনি পোস্টটি সম্পাদনা করে ‘চাঁদাবাজ’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ছিনতাইকারী’ লেখেন। 

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান জানান, “দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১/৫০৫-ঘ ধারায় মানহানির মামলাটি করা হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আদালত পরবর্তীতে নির্দেশ দেবেন।” 

গাজীপুর মহানগর আদালতের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, “বাসন থানা বিএনপির সভাপতি মো. তানভীর সিরাজ এনসিপির সারজিস আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলায় টাকার নির্দিষ্ট পরিমাণের কথা বলা হয়নি।” 

এই মামলাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা থেকে বুঝা যায় যে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং সামাজিক মিডিয়ার অপব্যবহার বেড়ে চলেছে। 

সাংবাদিক হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রমাণিত না হলেও, এই ধরনের অপপ্রচার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সচেতনভাবে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করা উচিত যাতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো না হয়। 

এদিকে, এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে এবং এর প্রভাব রাজনৈতিক অঙ্গনে কেমন হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নজর রাখছেন। এই ঘটনার ফলাফল ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিবেশের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে।

No comments found