ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জন আসামির দেশত্যাগে রমনা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা বহুচর্চিত মামলা এবার এক নতুন মোড় নিয়েছে। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যুর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার পর, এই মামলার আসামিদের দেশত্যাগে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রমনা থানা পুলিশ।
রমনা থানা পুলিশের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে যে, মামলাটি বর্তমানে আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন কোনোভাবেই দেশ ত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। তাই তদন্ত চলাকালীন কোনো আসামি যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সালমান শাহ। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করে আসছিলেন অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। কিন্তু আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পুলিশ তার অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে।
গত ২০ অক্টোবর, মধ্যরাতে সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম বাদী হয়ে রমনা থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নাম রয়েছে নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হকের। এছাড়াও, প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু এবং রিজভী আহমেদ ফরহাদসহ মোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
হত্যা মামলা দায়ের এবং আসামিদের ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারির এই ঘটনা সালমান শাহের মৃত্যু রহস্যের জট খুলতে এক বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছে দেশের সচেতন মহল।



















