close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাইবার হা ম লার আ শ ঙ্কা য় দেশজুড়ে ইন্টাননেট বন্ধ রেখেছে ই রা ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাইবার হামলার মারাত্মক শঙ্কায় গোটা ইরানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট। সরকারি সূত্র বলছে, শত্রু দেশগুলোর ‘সাইবার আর্মি’ ইরানের গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কে হামলার ছক কষছে। ফলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ন..

ইরানে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ।

গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন ২০২৫) সন্ধ্যা থেকে ধাপে ধাপে বন্ধ হতে শুরু করে ইরানের মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা। আজ শুক্রবার (৬ জুন) দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শত্রু পক্ষ ইরানের ভেতরে সাইবার হামলার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখতে ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ বিবৃতি ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি প্রকাশ করে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, কয়েকটি শত্রু রাষ্ট্র মিলে ইরানের জাতীয় ওয়েবসাইটগুলোর উপর ভয়াবহ সাইবার হামলার পরিকল্পনা করেছে।

তাদের দাবি, শুধু তথ্য চুরি নয়— বরং টার্গেটেড হ্যাকিং, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ডিজিটাল নজরদারি ও সরকারি তথ্য অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়ার মতো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।

শত্রু পক্ষ সাইবার আর্মি তৈরি করে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত এবং ভীতিকর মাত্রায় তথ্য সংগ্রহ করছে,” — বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

যদিও ইরানি সরকার জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে সীমিত পর্যায়ে ‘লোকাল নেটওয়ার্ক’ চালু আছে, তবে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তারা বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকে মোবাইল ফোন বা ব্রডব্র্যান্ড—কোনো মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।

তেহরানের এক বাসিন্দা বলেন,
আমি অফিসের জরুরি কাজ করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সব নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেল। ভিপিএনও কাজ করছে না।

আমার অনলাইন ক্লাস চলছিল। হঠাৎই সব বন্ধ হয়ে গেল। কোথাও কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। এ এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ইন্টারনেট শাটডাউন ইরানের জন্য এক বড় ধরনের অ্যালার্ম। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরান দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ও তথ্য-নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

২০১০ সালে ‘Stuxnet’ নামক এক ভাইরাস ইরানের পরমাণু প্রকল্পে আঘাত হেনেছিল—যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হাত ছিল বলে ধারণা। এরপর থেকেই ইরান নিয়মিতভাবে নিজস্ব সাইবার প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তুলছে।

ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে। ব্যাংকিং, ব্যবসা, শিক্ষা, যোগাযোগ—সব কিছুতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

তবে সরকার বলছে, এটি ‘অত্যন্ত সাময়িক ও নিরাপত্তা-ভিত্তিক পদক্ষেপ’ — এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ইন্টারনেট পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে ইরানকে আরও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলতে পারে। কারণ, তথ্য অবরোধ ও নাগরিক অধিকার হরণ বিষয়ক ইস্যুতে ইরান বহুদিন ধরেই সমালোচিত।

לא נמצאו הערות