close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাভারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ: পিঠা উৎসবের মাঝে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাত
সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৪ জন শিশু রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দগ্ধরা হলেন- মোছা. সূর্য্য বানু (৫৫), মোছা. জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৩), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩০), শিউলি আক্তার (২৫), শারমিন (২৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও মোছা. সুরাহা (৩)। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দগ্ধ সুমন দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। রাতে তার ভাই সোহেল পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এ উপলক্ষে বাড়িতে পিঠা বানানোর উৎসব চলছিল। ওই সময় হঠাৎই বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে চারপাশে আগুন ধরে যায়। এতে নারী-শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়। ঘটনার পর দগ্ধ অবস্থায় লোকজন তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন। আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার অফিসার মেসবাহ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ১১ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিবরণ: শুক্রবার রাতে সুমন মিয়ার বাড়িতে পিঠা বানানোর উৎসব চলছিল। তার ভাই সোহেল ও পরিবারের অন্য সদস্যরাও সেই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। হঠাৎ করেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে তা চারদিকে ছড়িয়ে পরে। আগুনের লেলিহান শিখা ১১ জনকে গ্রাস করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। দগ্ধদের অবস্থা: দগ্ধদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। বাকিদেরও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। তাদের সকলেরই উন্নত চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের সুস্থ করে তুলতে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া: এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় স্থানীয়রা স্তম্ভিত। তারা জানান, এমন ঘটনা এর আগে কখনো দেখেননি। সবাই আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন। প্রশাসনের ভূমিকা: ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator