ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, স্ত্রী হীরা এবং ব্যাংক কর্মকর্তা শহিদুল ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে সাবেক রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং বর্তমানে বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত মো. আব্দুল বাতেন ও তার স্ত্রী নুরজাহান আক্তার হীরাসহ চারজনের বিদেশে যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি আবেদন জমা দেওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য দুজন হলেন: শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দোহার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী নাজমুন নাহার স্বর্ণা।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমি একটি আবেদনের মাধ্যমে আবদুল বাতেন ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রা নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে বাতেন নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আবদুল বাতেন ও তার স্ত্রী বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন। এ কারণে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জরুরি হয়ে পড়ে বলে দুদকের দাবি।
অন্যদিকে, উপসহকারী পরিচালক উজ্জ্বল কুমার রায় শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিষয়ে আরেকটি আবেদন করেন। আবেদনে জানানো হয়, মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের মালিক আলাউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে মিলে জাল মানি রিসিট ব্যবহার করে ১০ লাখ টাকার মেয়াদি আমানত নগদায়নের চেষ্টার অভিযোগে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহিদুল ও তার স্ত্রী দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে আদালতের আদেশে তাদের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, এসব মামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যদি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তাহলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণেই আদালতের মাধ্যমে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অনিবার্য হয়ে পড়ে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, তদন্তের অগ্রগতির ভিত্তিতে পরবর্তীতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে এবং তাদের সম্পদের বিস্তারিত হিসাব তলব করা হবে।