close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিতর্কিত মন্তব্য: পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ ভাগ আওয়ামী লীগ সমর্থক

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ ভাগ কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে নতুন করে
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ ভাগ কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। বেনজীর আহমেদ, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোমধ্যেই আলোচনায় ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন, যেখানে স্বাধীনতা, সংবিধান এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের প্রতি তার সমর্থন স্পষ্ট হয়। বিরোধী দলগুলো প্রায়ই অভিযোগ করে যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনীকে সরকারি দলের স্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন। এছাড়াও, তার সময় বিরোধী দল ও মত দমনে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও সমালোচনা করা হয়। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। সাম্প্রতিক এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বেনজীর আহমেদ দাবি করেন, "পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ ভাগ আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরিকল্পনা চলছে এবং দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে। তার মতে, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার মাধ্যমে এটি আরও জোরদার করা হচ্ছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, "ড. ইউনুসের সরকারের বিরুদ্ধে আপাতত বিদ্রোহ করা হবে না। তবে সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য কাজ চলবে এবং দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা হবে।" এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, পাঁচ তারিখের পর অনেক অফিসার তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করেছে এবং কয়েকজন কর্মকর্তাকে অকার্যকর পদে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বেনজীর আহমেদের এই বক্তব্যের পর বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন তার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই ধরনের মন্তব্য পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্বকে ক্ষুণ্ণ করে এবং বাহিনীর সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
Inga kommentarer hittades