close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
রূপপুর প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার লোপাট! শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ একটি রিট দায়ের করেন। রিটে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ লোপাটের অভিযোগের তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
প্রতিবেদনের মূল তথ্য:
১. অভিযোগ:
৫০০ কোটি ডলার লোপাট করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।
মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ সরানোর অভিযোগ উঠেছে।
২. প্রকল্পের ব্যয়:
রূপপুর প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার, যা তুলনামূলকভাবে অত্যধিক।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসাটম।
৩. হাইকোর্টে রিট:
রিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিক-কে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাশাপাশি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ মোট ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
৪. গণমাধ্যম প্রতিবেদন:
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প-এর প্রতিবেদনে এই অভিযোগ প্রথম প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা মালয়েশিয়ার ব্যাংকে গোপনে অর্থ সরিয়েছেন।
রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবতা:
২০১৭ সালে শুরু হওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ২০২৪ সালের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা দেশের বিদ্যুতের ২০ শতাংশ সরবরাহে সহায়ক হবে।
তবে এমন একটি বৃহৎ প্রকল্পের আড়ালে এ ধরনের লোপাটের অভিযোগ সত্য হলে তা দেশের জনগণের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ হবে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
হাইকোর্টের রুল অনুসারে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার কারণ এবং অভিযোগের সত্যতা তদন্তে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা শিগগিরই আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়া দেশের জনগণ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত আশা করছে।
এ নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
চমকপ্রদ হেডলাইন ও স্বচ্ছ বর্ণনার মাধ্যমে সংবাদটি প্রাসঙ্গিক, আকর্ষণীয় এবং বিস্তারিত আকারে পুনরায় লেখা হলো। এতে পাঠকের আগ্রহ বাড়বে এবং বিষয়বস্তুর গভীরে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
Không có bình luận nào được tìm thấy



















