রাইসুল ইসলাম জুয়েল জানান, ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মেহেদী হাসান দিপুর সঙ্গে ৩ বছরের চুক্তিতে বনানী রোড নং-১৭ এ অবস্থিত হোটেল ইউনিক রিজেন্সির রুফটপ রেস্টুরেন্ট পরিচালনার জন্য পার্টনারশিপে ব্যবসা শুরু করেন। তবে ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ভ্যাট, ট্যাক্স বা সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করা হয়নি।
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে রেস্টুরেন্টে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন জুয়েল। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে তাকে হুমকি দেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে তাকে আর ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। জুয়েল জানান, ব্যবসায়িক ক্ষতি, রেস্টুরেন্টে ব্যবহৃত ইন্টেরিয়র ও যন্ত্রপাতির খরচসহ মোট ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষতির জন্য তিনি আইনি নোটিশ পাঠান, তবে তার কোনো সদুত্তর দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, বনানী থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে রংধনু গ্রুপের মালিকানাধীন ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এমনকি রংধনু গ্রুপের এক রেস্টুরেন্টে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ গ্রেফতারকৃতদের ঘটনাকেও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাইসুল ইসলাম জুয়েল অভিযোগ করেন, রংধনু গ্রুপ সরকার দলীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এইসব অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলন শেষে জুয়েল আশা প্রকাশ করেন, নতুন বাংলাদেশে কেউ যেন আর ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় জুলুম-নিপীড়নের শিকার না হয়।