close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

রিজার্ভ চুরির চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি: বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়েছিল। বর্তমান বাজারদরে যার পরিমাণ প্রায় ৯৭২ কো
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়েছিল। বর্তমান বাজারদরে যার পরিমাণ প্রায় ৯৭২ কোটি টাকা। কিন্তু শ্রম উপদেষ্টা সম্প্রতি এক ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন, এ ঘটনার চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। বৈঠকের তিন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেক্সিমকো শিল্পপার্কে অবস্থিত লে-অফ করা ১৩টি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া, বেক্সিমকোতে নিয়োজিত রিসিভারকে বরখাস্ত করা এবং ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর কাছে বন্ধক থাকা শেয়ার বিক্রি করে কর্মীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা জানান, বেক্সিমকোর কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। এই টাকার উৎস হিসেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস খাতে বিশাল ঋণ কেলেঙ্কারি বেক্সিমকোর টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলস খাতের ১৬টি কোম্পানি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৮,৫৪৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা জানান, ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই ঋণ কেলেঙ্কারি তদন্ত করা হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন কোন ব্যাংক কত ঋণ পাবে? জনতা ব্যাংক: ২৩,২৮৫ কোটি টাকা।সোনালী ব্যাংক: ১,৪২৪ কোটি টাকা।অগ্রণী ব্যাংক: ৪২০ কোটি টাকা।রূপালী ব্যাংক: ৯৮৭ কোটি টাকা।ন্যাশনাল ব্যাংক: ৩১৫ কোটি টাকা।ইউসিবি: ৩৩৩ কোটি টাকা।এবি ব্যাংক: ৯৩৮ কোটি টাকা।এক্সিম ব্যাংক: ৪৯৭ কোটি টাকা।গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক: ৬১ কোটি টাকা।ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: ৯৪ কোটি টাকা।আইএফআইসি ব্যাংক: ৭৮ কোটি টাকা।বিআইএফএফএল: ৮৭ কোটি টাকা। রিজার্ভ চুরির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি! শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চর্মচক্ষুতে দেখতে পেয়েছি, রিজার্ভ চুরির থেকেও বড় কেলেঙ্কারি এটি। এই টাকার উৎস আমাদের, আপনাদের। এখানে উজাড় করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলোর কাছে জিজ্ঞাসা করা হবে টাকাগুলো কীভাবে নেওয়া হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দায়ীদের কাউকে ছাড়া হবে না। রিসিভারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা বেক্সিমকো লিমিটেডে নিয়োজিত রিসিভার (বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন) উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে উল্টো কাজ করেছেন। ফলে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली