রহস্যের জালে সাতকানিয়ার ডাবল মার্ডার: দুই জামায়াত কর্মীর মৃত্যু ঘিরে অজানা সত্য কি প্রকাশ পাবে?..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই জামায়াত কর্মীর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে রহস্য ক্রমশ গভীর হচ্ছে। নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেকের মৃত্যু পরিকল্পিত নাকি ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ঘটনাস্থ..

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় দুই জামায়াত কর্মীর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা কাটেনি দুদিনেও। সোমবার রাত ১০টার দিকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে। জামায়াতে ইসলামী দাবি করছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কেন তারা ছনখোলা এলাকায় গিয়েছিলেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল চার থেকে পাঁচটি সিএনজিতে করে এলাকায় প্রবেশ করে। মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় বন্দুকধারীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং পাঁচজন আহত হন। তবে জনতার আক্রোশের শিকার হন নেজাম ও ছালেক।

রাজনৈতিক প্রতিশোধের অভিযোগ

জামায়াত নেতাদের দাবি, নেজাম ও ছালেক জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে।

পুলিশের অবস্থান

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা রিভলবারটি থানা থেকে লুট করা অস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ এই দুই জামায়াত কর্মীর ছনখোলা যাত্রার প্রকৃত উদ্দেশ্য জানতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তদন্তের অগ্রগতি

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নতুন কোনো অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। তাদের মৃত্যু ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি নাকি রাজনৈতিক প্রতিশোধ—এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে।

সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেছেন, "আমরা বিভিন্ন দিক থেকে তদন্ত করছি। এলাকাবাসী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি