close
  
  
         
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
					বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কত দিন বা কত সময় প্রয়োজন তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।" তিনি মনে করেন, সরকারের রোডম্যাপ প্রকাশ করলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসবে।
রোববার (বিজয় দিবস উপলক্ষে) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
"জনগণের সামনে স্বচ্ছতা জরুরি"
তারেক রহমান বলেন, "বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কী করতে চাইছে? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য কত সময় দরকার সেটি জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "সরকার যদি রোডম্যাপ প্রকাশ না করে, তাহলে তা গণআকাঙ্ক্ষার বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। স্বচ্ছতার মাধ্যমে সরকার জনগণের সমর্থন আরও দৃঢ় করতে পারবে।"
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "অচিরেই বাংলাদেশের নির্বাচনি রোডম্যাপ কার্যকর হবে। গণতন্ত্রকামী জনগণ আমাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী। আপনাদের দায়িত্ব হলো জনগণের পাশে থাকা ও তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকা।"
"প্রশাসনিক গতি ও জনস্বার্থ"
তারেক রহমান মনে করেন, সরকারের কর্মপরিকল্পনা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, "কোনো অনিশ্চয়তার জায়গা যেন না থাকে। সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা নিজেরাও সফল হতে চায়।"
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি সংস্কারের নামে শুধু সময় নষ্ট করা হয়, আর জনদুর্ভোগ উপেক্ষা করা হয়, তাহলে জনগণের কাছে প্রশ্ন আসবে—সংস্কার আগে নাকি সংসার আগে?"
ডেঙ্গুর প্রকোপ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, "দুর্ভোগ সহ্য করেও জনগণ এখনো সরকারের সফলতা দেখতে চায়। কিন্তু সরকারের নিজস্ব কার্যক্রমই প্রমাণ করবে তারা কতটা আন্তরিক।"
"জনগণের শক্তি ও নির্বাচিত সংসদের ভূমিকা"
গণতন্ত্রের চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, "একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ। জবাবদিহিতামূলক সরকার থাকলে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হয়।"
তিনি মনে করেন, "জাতীয় ঐক্য তখনই শক্তিশালী হয়, যখন জনগণ শক্তিশালী থাকে।"
"ফ্যাসিবাদমুক্ত বিজয়ের আনন্দ"
তারেক রহমান বলেন, "১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পর ২০২৪ সাল দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার বছর হিসেবে ইতিহাসে স্থান পাবে। এবারকার বিজয় দিবস ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে, যা আরও আনন্দের এবং তাৎপর্যপূর্ণ।"
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতে প্রতিটি বিজয় দিবস হবে জনগণের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতা পূরণের দিন।"
"তারেক রহমানের নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা"
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "প্রত্যেক বাংলাদেশি এখন তারেক রহমানের নেতৃত্ব চায়। জনগণ তার দেশে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।"
তিনি বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবকে যুগান্তকারী কর্মসূচি উল্লেখ করে বলেন, "গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংস্কারের পথ দ্রুত সুগম করতে হবে।"
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকনসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষেপে:
তারেক রহমানের মতে, রাষ্ট্র সংস্কারে জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছ রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি। প্রশাসনিক গতি এবং জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিলে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে।
শেষ কথা:
বিজয় দিবসের এ আলোচনায় তারেক রহমান দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
					
					
					
					
					
					
    
					
					
			
					
					
					
					
					
					
					
				
				
				
				कोई टिप्पणी नहीं मिली
							 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			