close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

রায়পুরায় কৃষিজমির ওপর রাস্তা নির্মাণ: কৃষকদের ক্ষোভ ও উদ্বেগ..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
রায়পুরায় কৃষিজমির ওপর রাস্তা নির্মাণ: কৃষকদের ক্ষোভ ও উদ্বেগ

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর গ্রামে কৃষিজমির ওপর দিয়ে অনুমতি ও পূর্ব নোটিশ ছাড়াই সরকারি রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাদের দাবি, এই রাস্তা নির্মাণের ফলে তাদের জীবিকা বিপন্ন হয়ে পড়েছে এবং আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, দীর্ঘ বছর ধরে যেসব জমিতে তারা চাষাবাদ করে আসছেন, সেগুলোতে বিনা নোটিশে সরকারি রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ২৯ এপ্রিল, ক্ষুব্ধ কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরদিন ৩০ এপ্রিল, বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে উত্থাপন করা হয়।

অভিযোগে কৃষকরা বলেন, “আমরা বহু বছর ধরে এই জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। হঠাৎ করে এই জমিতে রাস্তা নির্মাণ শুরু হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। আমাদের জীবিকা এখন হুমকির মুখে।”

তারা অবিলম্বে রাস্তা নির্মাণের কাজ স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন এবং জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা ও যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণও নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছেন যে, এই রাস্তা নির্মাণের কাজটি একাধিক কৃষিজমির মধ্যে দিয়ে পরিকল্পিত হলেও, জমির মালিকদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এক কৃষক বলেন, “সরকার কৃষির উন্নতি চাইছে, কিন্তু আমাদের জমি নষ্ট করে রাস্তা তৈরি করলে আমাদের কি হবে?”

স্থানীয় মির্জারচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউএনওকে আশ্বস্ত করেছেন, যে জমির মালিকরা রাস্তার জন্য তাদের জমি ছেড়ে দেবেন। তবে বাস্তবে কৃষকরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। মিজানুর রহমানের ৪টি, মুকবুল হোসাইনের ২টি এবং জাকির হোসেনের ৫টি—মোট ১১টি জমি এই রাস্তা নির্মাণের বিরোধিতা করেছেন।

প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, “এটি মূলত একটি ছোট মাটির রাস্তা, যা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। তবে যদি এটি হাইওয়ে প্রকল্প হয়, তাহলে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা নিতে অন্য একটি প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, কৃষকদের দাবি, রাস্তা নির্মাণের আগে সকল মালিকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, এবং তাদের জমির ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তাদের জীবিকা রক্ষায় সরকারের সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় প্রশাসন, কৃষক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে, যাতে সকল পক্ষের স্বার্থ সংরক্ষিত থাকে।

Keine Kommentare gefunden