আরজু দুই মেয়াদে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সর্বশেষ উত্তর জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। আরজু রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানা যায়।
গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরজুর একটি পুরনো বক্তব্য পুনরায় ছড়িয়ে পড়েছে। পারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের এক সম্মেলনে দেওয়া ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, “পুলিশ হয়ে ঘরে ঘরে অভিযান চালাবো।” এই বক্তব্যটি রাঙ্গুনিয়ার সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং জনসাধারণ সেটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন।
রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, “আরজু সিকদার পাহাড়তলী থানায় গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।” তিনি আরও জানান, রাঙ্গুনিয়া থানায় আরজুর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো মামলা না থাকলেও একটি সিআর মামলা রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলাগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।