রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের নিচে পানিতে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ ভেসে উঠলেও, তা উদ্ধার ও তদন্তের বিষয়ে দায়িত্ব নিচ্ছে না কোনো থানা। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার দুপুরে রামপুরা ব্রিজের নিচে নোংরা পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান পথচারীরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হলে শুরু হয় থানা-দ্বন্দ্ব। বাড্ডা থানা জানায়, এটি রামপুরা থানার আওতাধীন এলাকা। অন্যদিকে রামপুরা থানা বলছে, ঘটনাস্থল বাড্ডা থানার সীমানার মধ্যে পড়ে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “ব্রিজের পাশে কচুরিপানা আর আবর্জনার মধ্যে একটা লাশ দেখেছি। আমরা পুলিশে ফোন করি, কিন্তু তারা এসে শুধু ছবি তুলে চলে যায়। লাশটা এখনো পড়ে আছে।” স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ধরনের প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব শুধু দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা নয়, এটি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহীনতারও বহিঃপ্রকাশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অসহযোগিতায় তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে এবং প্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ধরনের বিভ্রান্তি মাঝে মাঝেই দেখা যায়। তবে দ্রুতই একটি থানা দায়িত্ব নেবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” পানিতে ভেসে থাকা লাশটির পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশি দায়িত্বহীনতা ও সমন্বয়হীনতার এই চিত্র আবারও নগরবাসীর ভরসাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
Inga kommentarer hittades