close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

রাজস্ব ঘাটতি ৫৮ হাজার কোটি, ব্যাংকঋণে নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে সরকার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ চাপের মুখে পড়ছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে সরকার ব্যাংকঋণের দিকে ঝুঁকছে। চলতি অর্থবছ
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ চাপের মুখে পড়ছে। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব ঘাটতি দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে সরকার ব্যাংকঋণের দিকে ঝুঁকছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা কম হয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতি ও ব্যাংকঋণের চিত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের নিট ব্যাংকঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ঋণাত্মক ৭৪১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে সরকারের ঋণ গ্রহণ বেড়েছে ২৯১৬.৭৩ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যেখানে লক্ষ্য ছিল দুই লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এ হিসেবে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা। ব্যবসায় মন্দা ও ঋণের উপর নির্ভরতা ক্ষমতার পালাবদলের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে যে মন্দাভাব চলছে, তার প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আহরণেও। বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করছেন, ফলে কর আদায়ের হার আশানুরূপ বাড়ছে না। অপরদিকে, ব্যাংকঋণের উপর সরকারের নির্ভরতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অথচ এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭৪ হাজার ৪২০ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সঙ্কট কাটাতে কর সংCollectionহার বৃদ্ধি ও ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ জরুরি অর্থনীতিবিদদের মতে, এই রাজস্ব ঘাটতি পূরণ করতে হলে সরকারকে কর সংCollectionহার বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে বাজেটের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। যদি ব্যাংকঋণের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সামগ্রিক অর্থনীতি আরও বেশি চাপে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে নীতি সংস্কার এবং কর নেট সম্প্রসারণ করা জরুরি, যাতে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় থাকে এবং অতিরিক্ত ঋণের বোঝা কমানো সম্ভব হয়।
کوئی تبصرہ نہیں ملا