রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে অনেক শিল্পীই বিপদে পড়েছেন : বাপ্পারাজ..

Umme Hani Akter avatar   
Umme Hani Akter
সিনেমার মানুষ বাপ্পারাজ। পর্দার বাইরে খুব একটা দেখা মেলে না তার। ব্যক্তিজীবন নিয়েও নীরবে, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে চেষ্টা করেন তিনি । যে কারণে ক্যারিয়ারজুড়েও খুব একটা সংবাদের শিরোনাম হননি এই নায়ক। ..

অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। এদিক থেকেও বাপ্পারাজ ছিলেন ব্যতিক্রম। কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না , ভবিষ্যতেও রাজনীতিতে জড়াতে চান না এই নায়ক।  

 শিল্পীদের রাজনীতি করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি । বাপ্পারাজ বলেন, ‘শিল্পীদের রাজনীতি করা উচিত না। যদি করতেই হয়, তাহলে অভিনয় থেকে অবসর নিয়ে করা যেতে পারে। একটা পেশায় যুক্ত থেকে যখন কেউ রাজনীতিতে যুক্ত হয়, তখন সে নানাবিধ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। অন্যের তোষামোদ করতে হবে; যেটা ইদানীং হয়েছে। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই (রাজনৈতিক) সুযোগ নিত। সুযোগ নিতে গিয়েই তারা বিপদে পড়েছে।’

নিজের প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি কখনো রাজনীতি করিনি, এখনো করি না, ভবিষ্যতেও রাজনীতি করব না। আমি অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। দাওয়াত দিলে আওয়ামী লীগের পার্টিতে গিয়েছি, বিএনপির পার্টিতেও গিয়েছি, ছবি তুলেছি। কিন্তু আমাদের পেছনে পুলিশ  দৌড়ায় না। আমাদের তো কেউ বলে না, তুমি এটা করছ কেন বা ওটা করলা কেন? কারণ, আমি কখনো সুযোগ নিতে চাইনি। পেশাগত কাজটাই করে গেছি।’  

 রাজনৈতিক কারণে শিল্পীরা হেনস্তা হলেও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নীরব ভূমিকা পালন করছে সাম্প্রতিক সময়ে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সংগঠনটি। 

শিল্পী  সমিতির কার্যক্রম নিয়ে বাপ্পারাজ হতাশ হয়ে বলেন, ‘কিছু লোক যুক্ত হওয়ার পর 'শিল্পীদের সংগঠনটি 'একটা দলের চাটুকার হয়ে গিয়েছিল। শিল্পীদের জন্য নয়, মনে হচ্ছিল কোনো দলের মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করছে। বাইরের লোকজনকে এনে মালা পরানো হতো। আমাদের নিয়ে গিয়ে বলা হতো, তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। অন্যের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার পাশে গিয়ে ছবি তোলা তো শিল্পীদের কাজ না। অবস্থা এমন দাঁড়াল, আমি যাব স্বার্থের জন্য, ফায়দা হাসিল করব—এই কারণেই এসব তোষামোদি করে গেছে।  এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।’

Tidak ada komentar yang ditemukan


News Card Generator