close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা তালিকা ধরে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালাবে যৌথ বাহিনী। একই সাথে জুলাই বিপ্লবের পর যারা বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে জড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোর কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর কালের কণ্ঠের।
সূত্র জানায়, মাঠ প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সব জেলায় জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক করে কোর কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। এই কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও এতদসংক্রান্ত কার্যক্রম সমন্বয় করবে।
একাধিক জেলার ডিসি ও এসপি জানান, তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিতর্কিত রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা নানা কৌশলে মাঠে নামার অপচেষ্টা করছে। তাদের বিষয়ে 'জিরো টলারেন্সে' রয়েছে প্রশাসন। নাশকতার সাথে জড়িত অনেকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'জুলাই অভ্যুত্থানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, দখল ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে।' সাধারণ মানুষ নিজেদের 'অনিরাপদ বোধ' করছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'ফ্যাসিবাদীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।'
কোর কমিটি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কোর কমিটির সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সূত্র জানায়, 'ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়ে মুখোশধারী ও কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লিফলেট বিতরণ করছে। তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।'
পুলিশ জানায়, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান চলছে।
চাঁদাবাজি বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'অপরাধী যে-ই হোক বা যে দলেরই হোক, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজি যেন কোনো অবস্থাতেই না হয়, সে বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।'
এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলে মনে হচ্ছে।
Комментариев нет