ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। এক সময় যেসব পরিবার রাষ্ট্রশক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল, আজ তারা অনেকেই ইতিহাসের পাতা হয়ে গেছে। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে শুরু করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য পর্যন্ত-পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির উত্থান ও পতনের চিত্র রয়েছে বিস্তর। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধারা থেকে বাংলাদেশও যেন একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী গান্ধী পরিবার বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত রাজ্যগুলোতেও রাজনৈতিক প্রভাব কমে আসছে দিন দিন। অন্যদিকে পাকিস্তানের ভুট্টো পরিবার, শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে পরিবার কিংবা ইরানের শাহ পরিবার-এক সময় যাদের হাতে ছিল ক্ষমতার রাশ, আজ তারা কেবল ইতিহাসের এক অধ্যায়।
বাংলাদেশেও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির নানা চিত্র বারবার সামনে এসেছে। তবে রাজনৈতিক সচেতনতা, তরুণদের অংশগ্রহণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক বিস্তারের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের আহ্বান প্রবল হয়ে উঠছে। এতে করে পরিবারভিত্তিক রাজনীতি সংকটে পড়ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
ভালুকা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাদিসুর রহমান খান বলেন, “আসলে দেশ কারো বাপের না। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি যখন দানবীয় রূপ ধারণ করে, তখন পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।”
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু পরিবারতন্ত্র এই মৌলিক কাঠামোকে বাধাগ্রস্ত করে।