close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পশুর হাটের নি'রা'প'ত্তা নিশ্চিত ও চা'দা'বা'জি রোধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঈদুল আজহা ঘিরে বন্দরে কোরবানির হাটে চলছে বিরামহীন প্রস্তুতি। নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজি রোধে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চলছে মোবাইল কোর্ট। বিস্তারিত জানুন.....

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটের প্রস্তুতি। ঈদের আগমুহূর্তে হাটগুলো হয়ে উঠেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত। কিন্তু কেবল পশু কেনাবেচা নয়, নিরাপত্তা ও অনিয়ম ঠেকাতে প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ এবার ঈদ বাজারকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্রে।

বিশেষ করে পশুর হাটে চাঁদাবাজি, চুরি, জাল টাকা ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম (পিপিএম) জানিয়েছেন,

“প্রতিটি হাটের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও পাশে থাকবে। হাটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রতিটি কোণে নজরদারি চালানো হচ্ছে।”

পাশাপাশি নদীপথে পশুবাহী নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে নৌপুলিশকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বা চাঁদাবাজি না ঘটে।

কোরবানির পশু কেনাবেচায় লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয় প্রতিদিন। এর নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিশেষ বুথ স্থাপন করা হচ্ছে প্রতিটি হাট এলাকায়। ডিজিটাল লেনদেন এবং ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট নিয়েও নেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা।

হাট চলাকালে পশুর মলমূত্র ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,

“ইজারাদারদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বর্জ্য পরিষ্কার তাদের দায়িত্ব। তবে তারা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রশাসন নিজের খরচে অপসারণ করবে। এজন্য আগে থেকেই নির্দিষ্ট ফান্ড রাখা হয়।”

যদিও প্রশাসন নিরাপত্তা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আশ্বাস দিলেও স্থানীয় জনগণের মধ্যে আবাসিক এলাকায় হাট বসানো নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ
তাদের অভিযোগ,

“রাস্তা বন্ধ করে হাট বসানোয় যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি পশুর বর্জ্যের দুর্গন্ধে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে পরিবেশ।”

এই বিষয়ে ইউএনও বলেন,

“বিকল্প জায়গার অভাবেই কখনো কখনো আবাসিক এলাকাতেই হাট বসাতে হয়, তবে হাট শেষে দ্রুত পরিষ্কার করা হবে।”

চাঁদাবাজি, জাল টাকা, প্রতারণা বা কোনো অপরাধ ঠেকাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে চালু রয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর, যেখানে সাধারণ মানুষ যে কোনো অপরাধের তথ্য গোপনীয়ভাবে জানাতে পারবেন।

نظری یافت نشد


News Card Generator