close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পশ্চিম তীরে ভয়াবহ আইইডি হামলা: ইসরায়েলি সামরিক যান উড়ল জেনিন ব্রিগেডের বিস্ফোরণে..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পশ্চিম তীরের সিলাত আল-হারিথিয়ায় ভয়াবহ আইইডি বিস্ফোরণ চালিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাগোষ্ঠী জেনিন ব্রিগেড। সামরিক যান লক্ষ্য করে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে এলাকা। ইসরায়েল এখনও মুখ খুলেনি, পরিস্থিতি থমথমে।..

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আবারও জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ফিলিস্তিনের স্থানীয় যোদ্ধারা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের সিলাত আল-হারিথিয়া এলাকায় একটি ইসরায়েলি সামরিক যানবাহনে চালানো হয়েছে ভয়াবহ আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) হামলা। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘জেনিন ব্রিগেড’ নামে পরিচিত ফিলিস্তিনের প্রতিরোধগোষ্ঠী।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ‘জেনিন ব্রিগেড’ একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানায় যে, তাদের সদস্যরা আগে থেকেই একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক ডিভাইস প্রস্তুত করেছিল। সেটি সিলাত আল-হারিথিয়ার প্রবেশপথে পেতে রাখা হয়। ইসরায়েলি সামরিক যানবাহন প্রবেশ করতেই ডিভাইসটি বিস্ফোরিত করা হয়।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর নিশ্চিত করা হয়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। আলজাজিরার আরবি শাখার সংবাদদাতারা জানান, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

এই হামলার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি অভিযান বেড়ে গেছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনারা নাবলুসসহ বিভিন্ন শহরে একের পর এক অভিযান চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে নাবলুস শহরের পুরাতন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সামের খুওয়াইরাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী।

এই অভিযানের সময় সামেরের বাড়িতে আচমকা ঢুকে পড়ে সেনারা। বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী কাছাকাছি বালাতা শরণার্থী শিবিরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক ফিলিস্তিনিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, চোখ বেঁধে নিয়ে যায় এবং কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।

পুরাতন নাবলুস শহরে আজাজ মসজিদের সামনেও ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান নেয়। গ্রেট সালাহ আল-দীন মসজিদের চারপাশে স্থলবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং মসজিদের প্রবেশপথে সেনা চৌকি বসানো হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, নাবলুস শহরের আকাবা পাড়া এলাকায় একটি ফিলিস্তিনি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সেনারা। তারা বাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং একটি ঘর সম্পূর্ণভাবে তছনছ করে দেয়।

এছাড়া গত মাসেও ইসরায়েলি বাহিনী একাধিক মসজিদে ঢুকে তল্লাশি চালায় ও সেখানকার পবিত্র জিনিসপত্রের অবমাননা করে। এমন ঘটনা শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

সাম্প্রতিক এসব হামলা ও দমন-পীড়নের ঘটনায় পুরো পশ্চিম তীরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে, আগামি দিনগুলোতে সংঘর্ষ আরও তীব্র হতে পারে।

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাগোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত এবং এই ধরনের প্রতিরোধ আরও বিস্তৃত হবে।

Nenhum comentário encontrado