close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে নিজের পোড়া ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফি। তার দাবি, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি পোড়ানোর ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তার বাড়ি পোড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কাফির আবেগঘন বক্তব্য
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাফি বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে কথা বলেছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, ধানমন্ডি যারা পুড়িয়েছে, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে। আর ঠিক সেই প্রতিশোধ হিসেবেই আমার বাড়ি প্রথমে পুড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা এবং ভাই আমার জন্য দুইবার কেঁদেছেন। একবার জুলাই আন্দোলনের সময়, যখন আমি পালিয়ে গিয়েছিলাম। আর দ্বিতীয়বার আজ, যখন আমার ঘর পোড়ানো হলো। বাবার সন্তান হিসেবে আজ আমি লজ্জিত।”
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কাফি
সংবাদ সম্মেলনে কাফি সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “সাত দিনের মধ্যে আমার ঘর পুনঃনির্মাণ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমি একাই এই পোড়া বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়াবো। আমি কি সেটা আমি সাত দিন পর দেখাবো? বিপ্লবী ছাত্র-জনতা আমার সঙ্গে রয়েছে। এই পোড়া বাড়ির সামনে দাঁড়ালে টিএসসি পর্যন্ত জ্যাম লেগে যাবে। দরকার হলে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেবো।”
তিনি আরও বলেন, “৬০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা আন্দোলনের সময় সরকারের কাছ থেকে কোনো সুবিধা চাইনি। উপদেষ্টাও হতে চাইনি। শুধু দেশের মানুষের নিরাপত্তা চেয়েছি, নিজের নিরাপত্তা চেয়েছি। অথচ আজ আমার নিজের ঘরই নেই!”
ঘটনার পেছনে কারা? কাফির বিস্ফোরক অভিযোগ
এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ক্ষমতাসীন দল ও তাদের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কাফি। তিনি বলেন, “এই আগুন হাসিনা লাগাননি, এখানকার মানুষ লাগিয়েছে। আওয়ামী লীগ লাগিয়েছে, ছাত্রলীগ লাগিয়েছে। দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ৭০ শতাংশ লোকজন অ্যাক্টিভ, এই ফ্যাসিস্টদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে অপরাধীদের অবশ্যই খুঁজে বের করা সম্ভব।”
পরিবারের কান্না আর অনিশ্চয়তা
সংবাদ সম্মেলনে কাফির বাবা এবিএম হাবিবুর রহমান (৫৯) ও বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন (৩১) উপস্থিত ছিলেন। তারা দুজনেই এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং ন্যায়বিচারের দাবি করেন।
জনমনে প্রশ্ন: এভাবে কি চলতে থাকবে?
নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা নতুন করে রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা তৈরি করেছে। সাধারণ মানুষ এখন ভাবছে, এভাবে একে অপরের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার সংস্কৃতি যদি চলতেই থাকে, তাহলে এ দেশের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? প্রশাসন কি সত্যিই অপরাধীদের খুঁজে বের করবে, নাকি এই ঘটনাও অন্য অনেক ঘটনার মতো হারিয়ে যাবে সময়ের গর্ভে?
Không có bình luận nào được tìm thấy



















