close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপরে পুলিশি হামলা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের পুনরাবৃত্তি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Islami Andolon Bangladesh condemned the police attack on engineering students, calling it a repetition of fascist behavior, and urged dialogue to resolve their three-point demands.

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বলেছে, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের পুনরাবৃত্তি। তিন দফা দাবি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে ঘিরে পুলিশের হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির যুগ্মমহাসচিব ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশের সেরা মেধাবীদের ওপর পুলিশি লাঠিপেটা ফ্যাসিস্ট চরিত্রের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।”

তিনি বলেন, দেশের প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আজ যেসব সমস্যার কারণে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে, সেগুলো কোনো একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিনের নীতি বিশৃঙ্খলা, উদাসীনতা এবং অব্যবস্থাপনাই এ সংকটের মূল কারণ। অথচ রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে আলোচনার টেবিলেই এ সমস্যার সমাধান করা যেত। তিনি আহ্বান জানান, এখনো সময় আছে, আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বুয়েটসহ দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তারা জাতির সম্পদ। তাদের মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ন করার মতো আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে জড়ো হওয়া যেমন কাম্য নয়, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এমন নির্মম হামলাও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

আশরাফুল আলম উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ফ্যাসিবাদের অন্ধকার সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সেরা মেধাবীরা যখন রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করছে, তখন তাদেরকে লাঠিপেটা করা আসলে জাতির হৃদয়ে আঘাত করার সমান। “আমরা চাই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করুক, গবেষণা করুক। আমরা চাই না শিক্ষার্থীদের রাস্তায় আন্দোলন করতে দেখতে। তাদের লাঠিপেটার দৃশ্য দেখলে জাতির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়,” যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “প্রকৌশলে যারা ডিপ্লোমা করছে এবং যারা বিএসসি পড়ছে—সবাই দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের পড়াশোনার বিস্তৃতি, দক্ষতা ও অবদান বিবেচনায় সবার জন্যই সম্মানজনক সমাধান দ্রুত বের করতে হবে।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, এ সমস্যার সমাধানে সহিংসতা নয়, আলোচনার পথই একমাত্র কার্যকর উপায়। দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে, যাতে দেশের প্রকৌশল খাত এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর কোনো অনিশ্চয়তার মধ্যে না পড়ে।

দেশের সাধারণ মানুষও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ, তাদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ জাতি কখনো মেনে নেবে না।

বিবৃতির শেষাংশে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ যারা তৈরি করবে, তাদের ওপর লাঠি দিয়ে কোনো সমস্যা সমাধান হয় না। আলোচনার টেবিলেই সমাধান করতে হবে। সরকারের উচিত দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।

Комментариев нет