close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
বাংলাদেশের সিনেমা শিল্পের পরিচিত মুখ, চিত্রনায়িকা পরীমণি, সম্প্রতি এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ২৫ জানুয়ারি শনিবার, ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট করে, তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে হারল্যানের স্টোর উদ্বোধন করতে না পারার দুঃখ এবং ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তার পোস্টটি যেন দেশের বিনোদন শিল্পের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা হয়ে উঠেছে।
পরীমণি তার পোস্টে লেখেন, "এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা!" এর মাধ্যমে তিনি একটি গভীর প্রশ্ন তুলেছেন যে, দেশের শিল্পী সমাজ কেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না এবং কেন তাদের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, "মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্তার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কী প্রমাণ করতে চলেছেন তারা?" এই মন্তব্যে পরীমণি তার সহকর্মীদের উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, এমন ধরনের বাধা শুধু তার পক্ষে নয়, অন্যান্য শিল্পীও এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তার ক্ষোভ শুধু নিজের পেশার প্রতি নয়, বরং দেশে বিনোদন ও সংস্কৃতি অঙ্গনে এমন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া নিয়ে ছিল।
তবে পরীমণি তার পোস্টের মাধ্যমে আরও একটি প্রশ্ন তোলেন, “কী বলার আছে আর….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে!” তার এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, যে বিনোদন শিল্পের প্রতি এমন অস্বীকৃতি শুধু শিল্পী ও দর্শকদের জন্য নয়, পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর।
এর পর, পরীমণি তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।" তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দেন যে, এই পরিস্থিতির দায় আমাদের সবাইকেই নিতে হবে, কারণ এটি কেবলমাত্র পরীমণির বা তার সহকর্মীদের সমস্যা নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক বিষয়।
এদিকে, টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটে হারল্যান স্টোরের শোরুম উদ্বোধনের জন্য পরীমণির আগমন নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান নেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা একাধিক বৈঠক করে, পরীমণির আগমন ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাদের প্রতিবাদের মুখে, শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধন স্থগিত করতে বাধ্য হন।
উল্লেখযোগ্য যে, শোরুমের উদ্বোধন ছিল ২৫ জানুয়ারি, শনিবার বিকেল ৩:৩০টায়। প্রায় ১৫ দিন ধরে এলেঙ্গায় টিন মার্কেটের শোরুম উদ্বোধনে পরীমণির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। শোরুম কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে অনুষ্ঠানটি ঘোষণা করে, কিন্তু পরে স্থানীয়দের চাপের মুখে শোরুমের উদ্বোধন স্থগিত করা হয়।
কালিহাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, "স্থানীয়রা প্রতিবাদ করায় কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।" এর মাধ্যমে, স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পরীমণির আগমনকে ঠেকানোর কার্যক্রম সফল হয়েছে এবং এ ঘটনা চিত্রনায়িকার ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে আজও অনেক ক্ষেত্রেই শিল্পী সমাজ স্বাধীনভাবে তাদের পেশাগত কাজ সম্পাদন করতে পারে না। পরীমণির ক্ষোভ ও প্রতিবাদ, দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলেছে, যা আগামীতে আরো বড় আলোচনার সৃষ্টি করতে পারে।
कोई टिप्पणी नहीं मिली



















