close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
প্রিমিয়ার সিমেন্টের ১০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি: তথ্য মুছে ভ্যাট ঘোচানোর প্রমাণ


প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, একটি খ্যাতনামা সিমেন্ট কোম্পানি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) পরিদর্শন দলের হাতে বড় ধরনের ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ধরা পড়েছে। সিমেন্ট উৎপাদনকারী এই কোম্পানি সরকারের প্রায় ১০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পরিদর্শক দলের তদন্তে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরকারী রাজস্ব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। তাদের ব্যবহৃত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে বিক্রয় তথ্য গোপন করা এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভ্যাট সংক্রান্ত নথি মুছে ফেলা।
এলটিইউ ভ্যাট পরিদর্শক দল জানায়, যখন তারা প্রতিষ্ঠানটিতে তদন্ত করতে যায়, তখন প্রিমিয়ার সিমেন্টের হিসাব শাখার কর্মকর্তারা তাদের উপস্থিতিতে দফায় দফায় সরে যান এবং প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার থেকে সব ভ্যাট সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেলে। তদন্তকারীরা জানান, তারা কোম্পানির কম্পিউটারে রিসেন্ট ফাইলও খুঁজে পাননি, যা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ভ্যাট ফাঁকির সুস্পষ্ট প্রমাণ। পরবর্তীতে, ভ্যাট কর্মকর্তারা সিমেন্ট কোম্পানির কিছু নথি জব্দ করেন, যেখানে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং বিক্রয় তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আমিনুল হক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "রাজস্ব ফাঁকির বিষয়টি ভিত্তিহীন," এবং বিষয়টি বিচারাধীন থাকার কারণে তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
তদন্তে জানা যায়, কোম্পানিটি প্রায় ১ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ চুরির মাধ্যমে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এলটিইউ ভ্যাটের কর্মকর্তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাদের ব্যবহৃত সিস্টেমে জেনারেটেড কোনো তথ্য প্রদান করেনি এবং দাবি করা হয়েছিল, তাদের সফটওয়্যার পাসওয়ার্ড সরবরাহে তারা বাধা দিয়েছিল।
এলটিইউ ভ্যাটের এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, "প্রিমিয়ার সিমেন্টের ভ্যাট ফাঁকি পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিকে, প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে যে, তাদের সফটওয়্যার ব্যবহারে বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে এবং তাদের কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।
Không có bình luận nào được tìm thấy