প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সংঘর্ষে উত্তপ্ত শাহবাগ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশজুড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রার উদ্যোগ নিলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় শিক্ষা..

রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হয়ে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের জমায়েত

সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে শাহবাগে অবস্থান নেন। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন, যার ফলে আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৫ মিনিট পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে গেলেও প্রতিবাদ চালিয়ে যান।

পদযাত্রা এবং পুলিশের বাধা

বিকেল পৌনে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে পদযাত্রা শুরু করলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন, কিন্তু প্রশাসন তাদের বাধা দিয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের দাবি, সংঘর্ষে তাদের সাত সদস্য আহত হয়েছেন।

সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান এবং জানান, সন্ধ্যার পর তারা মশাল মিছিল করবেন। তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের ব্যর্থতায় অপরাধীরা বারবার ছাড় পাচ্ছে, ফলে দেশে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে।

এই ঘটনার ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণের ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বেড়ে চলেছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কতদূর গড়াবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

Không có bình luận nào được tìm thấy