close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর অনকোলজি প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪: আজ এক ঐতিহাসিক ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধি দল একত্রিত হয়েছেন। এ বৈঠকটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ায় ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর অভিভাবকত্বের বিষয়টি তুলে ধরে, বিশেষ করে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অনকোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ করিমের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ডা. করিমের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে জানান, ক্যান্সার চিকিৎসায় তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "আমার ছোটভাই, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ক্যান্সার চিকিৎসায় যেসব ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছিল, সেগুলি আজও আমাদের মনে তাজা রয়েছে। সে সময় ডা. করিমই ছিলেন আমাদের সহায়িকা, তাঁর সাহায্য ছাড়া আমরা সামনে এগোতে পারতাম না।"
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, "আমরা এখনো ক্যান্সার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছি না, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, সার্কের মাধ্যমে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে এই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।"
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, "দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্কের মাধ্যমে একত্রিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সার্ককে সক্রিয় করার বিষয়ে জোর দিয়েছি। তবে, কিছু রাজনৈতিক সমস্যা, যেমন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ, সার্কের কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমার বিশ্বাস, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার সমস্যা অন্য দেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। সার্ক যদি সক্রিয় থাকে, তাহলে প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা একসঙ্গে মিলিত হয়ে ছবি তোলার মাধ্যমে বিশ্বে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে সক্ষম হবে যে আমরা একসঙ্গে আছি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে এবং সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।"
এই বৈঠকটি সার্ককে সক্রিয় করে তোলার প্রয়োজনীয়তা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা আজকের কনফারেন্সের মাধ্যমে একবারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্ককে পুনরায় সক্রিয় করতে আহ্বান জানান।
এই বৈঠকের মাধ্যমে আশা করা হচ্ছে, সার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নতি সাধন এবং একত্রে কাজ করার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমাধান আনতে সক্ষম হবে।
Tidak ada komentar yang ditemukan



















