প্রধান উপদেষ্টা যেটাই বলুন, এদেশে নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. জাহিদ এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাহিদ বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা যেটাই বলুন না কেন, এদেশে নির্বাচন কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। আজ আমাদের শপথ নেওয়ার দিন। জনগণ তার অধিকার ফিরে পেতে চায়। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিলে সমস্যার সমাধান হবে। যত দ্রুত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসবে, ততই দেশের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে।"
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ গণতন্ত্র এবং তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে বদ্ধপরিকর। সরকারের উচিত হবে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করা।
এর আগে, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করা হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হতে পারে। তবে যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার এবং নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করা হয়, তাহলে ছয় মাসের মতো অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা সম্ভব।"
প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পর বিএনপি’র পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. জাহিদ হোসেন জনগণের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে উল্লেখ করেন এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
Nenhum comentário encontrado