close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান না: মান্না

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না জানালেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চান না ক্ষমতায় থাকতে এক মুহূর্তও বেশি। তিনি নির্বাচন নিয়ে সময়ক্ষেপণ নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর স..

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনোভাবেই ক্ষমতায় বেশি দিন থাকতে চান না এবং নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ারও কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর—এমনই মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

রবিবার (২৫ মে) যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মান্না বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি এপ্রিলের পর কোনোভাবেই এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়াতে চান না। তাঁর অবস্থান স্পষ্ট—নির্বাচন হবেই, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।”

রাজনৈতিক ঐক্যের বার্তা:

মান্না জানান, বৈঠকে তিনি প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে কিছুটা হতাশার লক্ষণ দেখেছেন। ইউনূস নাকি বলেছিলেন, “আমি এতদিন যেসব চেষ্টা করেছি, যদি সব রাজনৈতিক দল একমত না হয়, তাহলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে।” এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে মান্না ও তার দলীয় প্রতিনিধিরা তাঁকে উৎসাহ দেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও গভীর আলোচনা ও মতবিনিময় চালিয়ে যেতে।

মান্নার পরামর্শ ছিল পরিষ্কার:
“আপনাকে দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে হবে, তাদের অবস্থান জানতে হবে, আর আপনার নিজের পরিকল্পনাও স্পষ্টভাবে জানাতে হবে—আপনি কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে চান, কীভাবে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে চান।”

নির্বাচন পিছিয়ে যাবে?
এমন প্রশ্নে মান্না সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বারবার আশ্বস্ত করেছেন—নির্বাচনের সময় কোনোভাবেই পেছানো হবে না। যদি কোনো সংস্কার দরকার হয়, তা হলেও তা দ্রুততার সঙ্গে করা হবে, কিন্তু সময়ক্ষেপণ নয়।”

মান্নার অবস্থান:
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, “আমরা সংস্কার নিয়ে তেমন কিছু বলছি না। আমাদের একটাই দাবি—একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। যেন কেউ প্রশ্ন না তোলে, যেন জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বহুদিন ধরেই সংশয় ছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়তে পারে কি না। এবার সেই প্রশ্নের একটা অন্ততঃ সাময়িক উত্তর পাওয়া গেল।

শেষ কথা:
প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যদি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে অনিচ্ছুক হন এবং সময়মতো নির্বাচন চেয়ে থাকেন, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এটি হতে পারে সম্মিলিতভাবে একটি কার্যকর নির্বাচন আয়োজনের মোক্ষম সুযোগ।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি